যে গান হয়েছিলো মৃত্যুর কারণ, কেড়ে নিয়েছিল ১০০’র বেশি প্রাণ!

 



মিউজিকের শক্তি কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত। পৃথিবীতে এমন কিছু গান রয়েছে, যা তার সুর ও কথায় মানুষের মন ও অনুভূতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তবে, কিছু গান এমনও রয়েছে, যেগুলো শোনার পর মানুষ একেবারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩৩ সালে।একটি গান কি কখনো মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে?


পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক গান কেড়ে নিয়েছিল ১০০’র বেশি প্রাণ। ফলে এই গানটি বহু দশক ধরে নিষিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মত দেশে এটি রেডিও এবং পাবলিক তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

গান হয়েছিলো মৃত্যুর কারণ।শুনতে অবাক লাগলেও পৃথিবীতে এমন একটি অদ্ভুত গান রয়েছে যা শুনে ১০০’রও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ১৯৩৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গানটির নাম "গ্লোমি সানডে"। হাঙ্গেরিয়ান সংগীত শিল্পী রেজু সেরেস রহস্যময় এই গানটি রচনা করেন। গানটির সুর নাকি এতটাই দুঃখজনক যে এটি শোনার পর অনেকেই নিজেকে শেষ করে ফেলেছেন।


তাই এই গানটি বহু দশক ধরে নিষিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মতো দেশে এটি রেডিও এবং পাবলিক তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

মূলত একটি দুঃখজনক প্রেমের গল্পের উপর ভিত্তি করে গানটি তৈরি করা হয়। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হারানোর পর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েন। প্রেমিকার স্মৃতি বুকে আঁকড়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এটি গানের গল্প।


গানটির সুর এতটাই করুণ এবং গভীর ছিল যে যে কেউ এটি শুনলেই বিষণতায় ডুবে যেত। জানা যায় গানটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই হাঙ্গেরিতে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যায়। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে এই গানটি শুনতে শুনতে কেউ কেউ তো জানালা থেকে ঝাঁপ মারেন।

আবার কেউ কেউ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। একসময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সরকার গানটি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। পরে ৬২ বছর পর ১৯৯৫ সালে গানটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

Countdown Timer
00:01

Comments