কানে ব্য’থা বা অস্ব’স্তি? ভুলেও করবেন না এই কাজগুলো! জেনে নিন
মাঝেমধ্যে কানে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। জীবাণুর সংক্রমণ বা অন্য কোনো প্রদাহের কারণে কানে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও, কানের অন্যান্য রোগ এবং টনসিল, দাঁত, গলা ও মুখের বিভিন্ন সমস্যার কারণেও কানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে কান বন্ধ লাগা বা কানে পিঁ পিঁ শব্দ হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই নিজে থেকে কানে আঙুল, ম্যাচের কাঠি, ক্লিপ বা কটন বাডের মতো জিনিস দিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে শুরু করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের কাজ কানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। কানে কোনো সমস্যা হলে কী কী করা উচিত নয়, তা জেনে নেওয়া যাক:
কানে খোঁচাখুঁচি করবেন না:
কানে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব হলে কখনোই আঙুল, ম্যাচের কাঠি, ক্লিপ বা এই জাতীয় অন্য কোনো জিনিস দিয়ে খোঁচাবেন না। এতে কানের ভেতরের সংবেদনশীল অংশে আঘাত লাগতে পারে এবং সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কটন বাড ব্যবহার এড়িয়ে চলুন:
কানে কটন বাড ঢোকানো একেবারেই উচিত নয়। এটি কাঠি এবং ক্লিপের মতোই ক্ষতিকর। কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ময়লা আরও গভীরে চলে যেতে পারে এবং কানের পর্দার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি, কটন বাডের তন্তু কানের ভেতরে আটকে গিয়ে সংক্রমণের কারণও হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ নয়:
কানে ব্যথা হলে কখনোই নিজের ইচ্ছামতো বা ফার্মেসির পরামর্শে কোনো ড্রপ ব্যবহার করবেন না। কানের সমস্যার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ড্রপ প্রয়োজন হতে পারে। ভুল ড্রপ ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই কানে ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাঝবয়সী বা বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা:
মাঝবয়সী বা বয়স্ক মানুষদের গলার কিছু মারাত্মক রোগের কারণেও কানে ব্যথা হতে পারে। তাই এই বয়সের ব্যক্তিদের কানে ব্যথা হলে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
মোটকথা, কানে ব্যথা বা কোনো ধরনের অস্বস্তি হলে এর সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করানো জরুরি। নিজে থেকে কোনো ভুল পদক্ষেপ না নিয়ে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার কানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকুন।
Comments
Post a Comment