বউকে চাকরি করতে দেয়ার পর সে পরকীয়া শুরু করলো

 


আমি অস্ট্রেলিয়া থাকতাম দেশে ফিরে প্রেমিকা সুমিকে বিয়ে করি। সুমি ইংরেজিতে অনার্স করেছে তার আবদার সে এখুনি যব করবে বিয়ের ১ মাসো হলনা । আমার পরিবারে আমার মা বাবা, ছোট ভাই থাকেন তাদের দায়িত্ব আমারই। মা বারবার বলেছে বাবা বউকে চাকরি করতে দিসনা সময় ভালোনা। আমি মায়ের কথা শুনিনি কারণ আমি আমার স্ত্রীকে খুশি দেখতে চাই। তবুও সুমিকে বলেছিলাম দেখো আমার তো আলহামদুলিল্লাহ টাকার অভাব নেই কি দরকার তোমার যব করার? সুমি বললো - টাকার জন্য যব করতে চাইনা নিজের পায়ে দাড়াতে চাই। আমি শিক্ষিত মেয়ে ঘরে বসে থাকার জন্য তো পড়াশোনা করিনি। আমি 

বললাম - বিজনেস করো? চলো আমরা পার্টনার হয়ে দুজনে আমার শপটা চালায়, ওহ বলা হয়নি আমি দেশে ফিরে গোল্ড এবং ডায়মন্ডের দোকান দেয় ঢাকাতে। বসুন্ধরা, মিরপুরে আমার শপ আছে।

সে বললো না তোমার বিজনেস তুমি করো, আমি এসব বিজনেস বুঝিনা। সে রাজি হলনা। যায়হোক আমিও বারণ করলামনা আর সে আরো ১ মাস পর একটা বাইরের কোম্পানিতে পি এ হিসেবে জয়েন করলো। পি এ ছাড়াও তার দায়িত্ব ছিলো বাইরের ক্লায়েন্টদের এটেন্ড করা। । সুমি মাঝে মধ্যে রাতে দেরি করে আসতো বাসায়। বাইরের ওনারের কোম্পানি যেহেতু, দিনদিন সুমির পোশাক ছোট হতে লাগলো! আমি স্বামী হিসেবে এটা মানতে পারছিলামনা বলে সুমির সাথে বেশ ঝ**গড়া হয়। আমিই পরে সব মেনে নি। কারণ সুমিকে ভীষণ ভালোবাসি। সুমির যব চললো ১ বছর ২ মাস হঠাৎ ওর ব্যবহারে পরিবর্তন। মাঝে মধ্যে সুমি রাতে উঠে কার সাথে কথা বলে, অফিস টাইম ৯ টায় কিন্তু ও বাড়ি থেকে ৬ঃ৩০ টায় বের হয়। যেখানে অফিস থেকে বাড়ি মাএ ৩০ মিনিট দূরে। ওর সুবিধা অনুযায়ী আমরা সুমির যবের ৬ মাস পর বাড়ি পরিবর্তন করি। বিষয় গুলো আমাকে ভীষণ ভাবাচ্ছিল, কিন্তু আমি ওকে জিগ্যেস করলেই ঝ*গড়া করতো তাই কিছু বলতামনা। সুমির ডিসেম্বরের ৯ তারিখ জন্মদিন অনেক কিছু ওকে না জানিয়েই প্ল্যান করেছি কিন্তু ৭ ডিসেম্বর সুমি বললো ৮ তারিখ সুমির অফিস থেকে আর্জেন্ট কক্সবাজার যেতে হবে! আমি ভীষণ কষ্ট পেলাম কিন্তু সুমিকে কিছু বললামনা। 😢  

সুমি বললো ৮ তারিখ সকালে সুমিকে তার অফিসের গাড়ি নিতে আসবে। তবে সুমির ব্যবহারে আমার সন্দেহ হচ্ছিলো তাই ৮ তারিখ যখন অফিসের গাড়ি নিতে এলো তখন আমিও অন্য গাড়ি করে ওদের গাড়ি ফলো করছিলাম। দেখলাম গাড়িটা কক্সবাজার না ঢাকারই ফাইভ স্টার হোটেলে গেলো 😢 আমি মনকে বুজ দিলাম হয়তো অফিসের কোনো কাজে আগে হোটেলে গেছে😢 আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে লিখতেও । এরপর আমিও ওদের পিছে ঢুকলাম মুখে মাস্ক, চোখে চশমা, চেষ্টা করছিলাম যেন কেউ না চিনে । সুমি একটা লোকের হাত ধরে রিসিপশনে গেলো কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বললো এরপর চাবি নিলো। এরপর তারা দুজন অন্য দিকে চলে গেলো। আমি যেতে পারিনি ওদিকে কারণ আগে আমাকে রিসিপশনে কথা বলতে হবে। যেহেতু ফাইভ স্টার তাদের রুলস আছে। আমি রিসিপশনে কথা বললাম প্রশ্ন করলাম একটু আগে যারা এসেছিলেন তারা কেন এসেছে? আমাকে বললো সরি আমরা কোনো ইনফরমেশন দিতে পারবোনা এটা আমাদের রুলস এর বাইরে। আমি লজ্জা না করে রিসিপশনের মেয়েটিকে সব বললাম উনি এরপর আমাকে বলে সরি স্যার আমি কোন ইনফরমেশন দিতে পারবোনা। 🙂 ঝামেলা মনে করে পাশে থাকা আরো দুজন ছেলে এগিয়ে এলো মেয়েটি ওদের কে আমার কথা বললো, আমিও ছেলে দুজন কে রিকোয়েস্ট করলাম, তারা বলে স্যার রুলসের বাইরে গেলে সমস্যা হবে। আমি উপায় না পেয়ে তাদের ৩ জনকে টাকা অফার করলাম 😢 কতটা অসহায় ছিলাম আমি কেউ বুঝবেনা। ৩ জনকে দেড় লাখ টাকা অফার করেছিলাম শুধু ওরা কেন এসেছে তা জানার জন্য 😢 কষ্টের টাকা। জানতে পারলাম - তারা কাপল রুম নিয়েছে, এবং যে লোকটির সাথে এসেছে সে অনেক ধনী একেকদিন একেক মেয়ে নিয়ে এই হোটেলে আসেন 😢 হোটেল বুক করার আগে নাকি রুমটা হানিমুন কাপলের মত সাজাতে বলেছেন😢 সুমিকে কল দিলাম সুমি ধরেনা, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কল দিলাম এরপর কল ধরলো ধরে অভিনয় শুরু যে - জান আমি গাড়িতে ছিলাম জার্নিতে শরীর খারাপ লাগছে, অসুস্থ হয়ে গেছি, ফোন সাইলেন্ট ছিলো মাফ করে দাও। আমি বললাম নাটক বাদ বাদ তুমি যে হোটেলে আছো আমি ঐ হোটেলের নিচে আছি শেষ একবার দেখা করো আমি এরপর ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিচ্ছি। সুমি বলে কি বলো জান অন্য কাউকে দেখছো কি নাটক! এটা বলে ফোট কেটে দিলো। সুমি আর এলোনা এরপর থেকে ওর ফোন বন্ধ। এরপর সুমি হয়তো ভয়ে আমার বাড়িতেও আসেনি শেষ কথাও বলেনি, ৬ মাস পেরিয়ে গেলো কেউ কারো খোঁজ নেয়নি। ডিভোর্স দেবো কিনা ভেবেছি। এরপর আমিই ওকে ডিভোর্স পাঠায়। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট একটায় ওকে সামনে দাড় করিয়ে ইচ্ছে ছিলো প্রশ্ন করার যে তুমি এটা কেন করলা? কি কম ছিলো আমার? কিন্তু পারিনি, শেষ দেখা কোর্টে হয়। দুজনেই চুপচাপ। আমি আমার অস্ট্রেলিয়ার ক্যারিয়ার ছেড়ে দেশে থেকে গেছি শুধু মাএ ওর কথায়। এখন শুধু মনে পড়ে মা ঠিকই বলেছিলো বাবা বউকে বাইরে চাকরি করতে দিসনা দিনকাল ভালোনা😢

আমার নাম বলছিনা অনেকেই চিনবেন তাই যেহেতু আমার ঢাকায় বেশ কয়েকটা শপ আছে। এবং ঘটনাটি মিথ্যা না আমি এরোমা ভাইয়া এবং সানাহ আপুর রিলেটিভ । সব ভাইদের একটা কথায় বলবো মানুষ পরিবর্তন হতে সময় লাগেনা স্ত্রীকে বাইরে যব করতে দেয়ার আগে খেয়াল রাখবেন। 

Countdown Timer
00:01

Comments