মিলেমিশে হাসপাতালের ওষুধ ও খাদ্য খাচ্ছেন তারা



 চিকিৎসাসেবা প্রদান, ওষুধ মজুত ও রোগীদের খাদ্য সরবরাহে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্টোরকিপার এবং খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার পরস্পর যোগসাজশে ওষুধ ও রোগীর খাবার আত্মসাৎ করছে বলে অভিযানে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।


অভিযানকালে দুদক টিম হাসপাতালের স্টক রেজিস্টারের তথ্যের সঙ্গে বাস্তব মজুদের মিল না পাওয়ায় ওষুধ সরবরাহে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। স্টোর রুমে রেজিস্টারে এন্ট্রিকৃত ওষুধের তুলনায় কম পরিমাণ ওষুধ পাওয়া যায়, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার ঘাটতি এবং আত্মসাত বলে মনে করছে দুদক।

অন্যদিকে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সরবরাহেও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, প্রতি পিস মুরগির মাংসে ১০৫ গ্রাম ওজন নির্ধারিত থাকলেও সরেজমিনে গড়ে মাত্র ৩৫–৪০ গ্রাম মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি মুরগির জন্য ৩০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে ১৮০–১৯০ টাকা মূল্যের ব্রয়লার মুরগি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিস্টার অনুযায়ী ৫১ জন রোগী ভর্তি আছে বলে দেখানো হলেও টিম গিয়ে মাত্র ১৬ জন রোগীকে ভর্তি অবস্থায় পায়, যা পরিষ্কারভাবে জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে। সার্বিক অনুসন্ধানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্টোরকিপার এবং খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের পরস্পর যোগসাজশ রয়েছে দুদক মনে করছে।

অভিযান শেষে দুদক জানিয়েছে, সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবে।

Countdown Timer
00:01

Comments